গাজীপুর প্রতিনিধি: পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কয়েকদিন ধরে অনুরোধ করে আসছেন পোশাক প্রস্তুতকারকরা। সেই আলোকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সকল গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিরাপত্তা আরও বাড়াতে এবার চলবে যৌথ অভিযান। এই অভিযান সোমবার রাতেই শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) এবং বিকেএমইএর অনুরোধে যৌথ বাহিনীর মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওহিদুল ইসলাম জানান, পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় গাজীপুরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে যৌথ অভিযানে যোগ দেবে র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তিনি বলেন, কারখানাগুলোতে যাতে করে শ্রম অসন্তোষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা কেউ পোশাক শ্রমিক না। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন।
এছাড়াও তিনি জানান, অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সকল কারখানা চালু রাখতে মালিকদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা যায়, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন কারখানায় চলছে উৎপাদন, বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
কারফিউসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামের কারণে কিছুদিন কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক শিল্প। শুরুতে মালিকরা নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু করেন। তবে সার্বিক নিরাপত্তায় কিছুদিন ধরে সেনাবাহিনীও সাহায্য করেছে।
কারখানা মালিকরা বলছেন, গাজীপুরসহ অন্যান্য শিল্প এলাকায় শতভাগ কারখানা চালু করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available