মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১৫ বছর ধরে শরীফ বাদশার রামরাজত্ব সংবাদ সম্মেলন কান্না করে বিচার চাইলেন ভুক্তভোগীরা। আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলবাজি, ইয়াবা, অস্ত্র চোরাচালান ও নিরীহ লোকজনের উপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা।
তার ও লালিত বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে চোখ, হাতসহ অঙ্গ হারিয়েছেন কয়েকজন। কিন্তু কোনো ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি। তার দাপট ও টাকা খেয়ে থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে শরীফ বাদশার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের আইনজীবী শাহরিয়ার মাহমুদ তুহিন বলেছেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর শরীফ বাদশা জাতীয় তালিকাভুক্ত ইয়াবা মাফিয়া ডন, অস্ত্র চোরাচালানকারী, প্যারাবন নিধনকারী ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসের গডফাদার। পুত্র জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নিশান, ভাই আবদুল গফুর, ফরিদ মিয়া ও মাওলানা নুরুল হক মিলে পুরো এলাকাকে ১৫ বছর ধরে ত্রাসের রাজত্ব বানিয়ে রেখেছেন। নিজে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রভাব খাটিয়ে এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তিনি করেননি।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত হয়ে নিজ ও স্বামীর উপর করা নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে ভুক্তভোগী মিনহার বেগম। তিনি বলেন, শরীফ বাদশা নিজে তাকে গুলি করেছেন। আওয়ামী সরকার পতন হলেও এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শরীফ বাদশা ও তার লোকজন। তাই এখনও বাড়ি যেতে পারেনি মিনহার বেগমের পরিবার। অর্থাভাবে তারা এখন না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, অন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজের অনাগত সন্তান জন্ম নিলে আদরের সন্তানকে দেখতে পারবেন না তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরেক ভুক্তভোগী মকছুদ আহমদ বলেন, আমাদের লবণ মাঠের জমি দখল করে শরীফ বাদশা ও তার লোকজন। এতে বাধা দিতে গেলে মকছুদ আহমদের উপর গুলি বর্ষণসহ নানাভাবে আঘাত করা হয়। এতে তিনি চোখের দৃষ্টি হারিয়ে অন্ধ হয়ে গেছেন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শরীফ বাদশা ও তার বাহিনীর হাতে নির্যাতিতসহ অন্তত ২০জন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available