জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: সূর্যমুখী চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। ক্ষেতগুলোতে সবেমাত্র ফুল আসতে শুরু করেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ফুলগুলো সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে আর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও কীটনাশক দেয়ার পাশাপাশি পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা।
জানা গেছে, সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল সোয়াবিনের বিকল্প হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত, এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত। ১০ কেজি সূর্যমুখীর বীজ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি তেল উৎপাদন হয়। এ বছর উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর আবাদ শুরু হয়েছে।
সূর্যমুখী ফুলবাগান দেখতে আসা বিপুল, মনি জেসমিন ও সিরাজ জানান, সূর্যমুখী ফুলের অপূর্ব সৌন্দর্য মানুষের মন কেড়ে নেয়। বাড়ির পাশেই এরকম ফুল ফোটার খবর পেয়ে আমরা দেখতে এসেছি, সেলফি তুলছি খুব ভালো লাগছে।
উপজেলার চন্দ্রখানা মুছল্লিপাড়া গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, ২৯ শতক জমিতে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী আবাদ করছি। এতে তার খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত যদি কোনো আপদ না আসে, তাহলে ওই জমিতে আট থেকে দশ মণ ফলনের আশা করছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই শহরের একটি ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী কোম্পানি ২৫০০ টাকা মণ দরে সূর্যমুখী ফসল কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সংগীতা সরকার, চলতি মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। কৃষকের কৃষি প্রণোদনাসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি কৃষকরা ভালো ফলন পাবে। আগামীতে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available