রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার ফাটার হাট এলাকার বেলতলি গ্রামের কলিমউদ্দিনের ছেলে মো. নুর আলম মিয়া (৩৫) রৌমারী খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার গভীর রাতে বছির উদ্দিন শেখ (১০৫) নামের অসুস্থ খালুকে গলাটিপে ও কিল ঘুষি মেরে হত্যা করেন।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কাউনিয়ার গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত বছির উদ্দিন শেখের পুত্র মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার খালাতো ভাই নুর আলম মিয়া গত ৬ দিন আগে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আমার বাবা যে ঘরে থাকেন আমার খালাতো ভাইকে সেই একই ঘরে থাকতে দেই। সোমবার রাতেও সে আমার বাবার কাছে একই রুমে ঘুমাতে যায়। আমিও পাশের রুমে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ রাত ৩টার দিকে আমার খালাতো ভাই আমাকে ডেকে তুলে বলে যে তোর বাবা মারা গেছে। আমি বাবার রুমে গিয়ে দেখি আমার বাবা মাটিতে পরে আছে আলো জ্বালিয়ে বাবার মুখে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন এবং রক্ত দেখতে পাই। তখন আমার সন্দেহ হয় আমার বাবাকে খালাতো ভাই নুর আলম আঘাত করে হত্যা করেছে। আমি তখন বলি আমার বাবা এমনিতে মরতে পারে না। তুই তাকে হত্যা করেছিস। এই বলে আমি চিৎকার করি এবং তাকে আটক করার জন্য ধরতে যাই।
সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালানোর জন্য ভারত সীমান্তের কাছে চলে যায়। আমিও তার পিছে পিছে যাই সে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ভারতীয় সিমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ তাকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আটক যুবক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দাঁতভাঙ্গা বিওপি ক্যাম্পের আওতাধীন কাউনিয়া চর সিমান্ত ১০৫৪নং পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ তাকে আটক করে।
খবর পেয়ে বাংলাদেশের দাঁতভাঙ্গা বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যগণ ঘটনা স্থানে চলে যায়। এবং পতাকা বৈঠক করে তাকে ফেরত এনে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে বিজিবি তাকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি মো. গোলাম মোর্তোজা বলেন, মৃত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আসামিকেও আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available