আজিজুর রহমান জয়, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত হয়েছে। ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান জিসানের সভাপতিত্বে পতাকা উত্তোলন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালিত হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী, সার্কেল এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব, ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস ছামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ হোসাইন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মধু, মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান জয়সহ আরও অনেকে।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ একটি জাদুঘর ও স্মৃতি রক্ষার্থে ভবন গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য,১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতার রেসকোর্স ময়দানে ৭ ই মার্চের কালজয়ী ভাষণের পর মুক্তিপাগল বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪ এপ্রিল স্বাধীনতা যুদ্ধের কলাকৌশল ঠিক করার জন্য মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। ভাগ করা হয় ৪ সেক্টর। ৪ সেনা কর্মকর্তাকে এসব সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তী ৪ সেক্টরের কাজের সুবিধার্থে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। ওই বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি করে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available