আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি: শিল্পাঞ্চল ঢাকার আশুলিয়ায় শ্রমিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখে ৮৬টি পোশাক শিল্প পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তত আরও ১৩৩টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ২১৯টি পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের অন্যান্য কারখানায় যথারীতি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আজ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক সারোয়ার আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিকদের দাবির মুখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যার ফলে পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্প সুরক্ষায় আশুলিয়ার অন্তত ৮৬টি তৈরি পোশাক কারখানা শ্রম আইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলে শ্রমিকরা বন্ধ সময়কালীন কোনো বেতন পাবেন না।
বাইপাল-আবদুল্লাহ্পুর সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বিশমাইল জিরাবো সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনন্ত, মেডলার, শারমিন গ্রুপ, ডেকো, এস টুয়েন টি ওয়ান, মন্ডল নীটওয়্যার লিমিটেড, ম্যাংঙ্গো টেক্স, এআর জিন্স, এনভয়, স্টাইলিং গ্রুপ, ভিনটেক্স, ইয়াগী বাংলাদেশ, ক্রস ওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অরোনিমা, ডেবনিয়ার, দি রোজ, জেনারেশন নেক্সট, সিনসিন, ডিসান সোয়েটার, হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, সিগমা ফ্যাশন, এ্যাপারেলস গ্যালারি লিমিটেড, রিফাত গার্মেন্টস, এক্সপ্রেস ওয়াশিং এন্ড ডাইং, নেক্সট কালাকশন, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার জিরানী বাজার এলাকার অকোটেক্স, নর্দান ফ্যাশন, দ্যাটস ইট নীট লিমিটেড, ওয়াইপি, নবী টেক্সটাইল এলাকার ডরিন গার্মেন্টস, চক্রবর্তী এলাকার নরবান, কমটেক্স, গ্রামীণ ফেব্রিকস এন্ড ফ্যাশন লিমিটেড এবং সিনহাসহ শ্রম আইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অন্তত ৮৬টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এসব পোশাক কারখানাগুলোর মূল ফটকে বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার এর সংখ্যা ছিল ৪৫টি। যা বেড়ে আজ ৮৬ টিতে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া ১৩৩টি কারখানায় আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শিল্পপুলিশ-১ এর পরিচালক সারোয়ার আলম বলেন, আজ শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো সড়ক অবরোধসহ কারখানায় হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সেসব কারখানার শ্রমিকরা আজ কাজে ফিরেনি। এছাড়া আজ সকালেও বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশের পর কর্মবিরতিসহ কারখানা থেকে বের হয়ে গেলে সব মিলিয়ে শিল্পাঞ্চলের ২১৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৮৬টি কারখানা আর বাকি ১৩৩টি কারখানায় আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা গুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available