বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রোস্তম আলী গাঠু মিস্ত্রীর পুত্র জীবন ইসলাম (২৫)কে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের স্বত্ত্বাধিকারী রতন কুমার সাহা রেন্টুর নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৫ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১০টার দিকে বীরগঞ্জ পৌর শহরের ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের গোডাউন কাম জেনারেটরের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রাক্টরের ব্যাটারি চুরি হয়। এ ঘটনায় চোর সন্দেহে জীবন ইসলামকে রোববার সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের নাইট গার্ড জাহাঙ্গীর ওরফে বাঘা, গোলাপগন্জ মোরের মৃত বাতেনের পুত্র বাবু ও পাম্পের মাষ্টারসহ কয়েকজন।
জীবন ইসলামকে ফিলিং স্টেশনের মালিক রতকুমার সাহা রেন্টুর নির্দেশে বেঁধে রেখে তিন ঘণ্টা ধরে কয়েক দফায় মারধর ও চরম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলেই জীবন ইসলাম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
নিহত জীবনের বোন রুকসানা ও প্রদক্ষদর্শী রবিউল ইসলাম জানান, জীবনকে বাড়ি থেকে তুলে এনে বেধড়ক মারপিট করেছে। তার শরীরে গরম পানি ঢেলেছে এবং সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে পাশবিক নির্যাতন করা হয় বলেও তারা জানান।
এ সময় জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী রতন সাহা রেন্টুর হাত-পা ধরে প্রাণে বাঁচার আকুতি মিনতি করেও রেহাই পায়নি জীবন ইসলাম।
নিহতের পিতা রোস্তম আলী গাঠু মিস্ত্রী জানান, সকালে গোলাপগঞ্জ রোডস্থ বাতেনের ছেলে বাবু, নাইট গার্ড জাহাঙ্গীর বাঘা ও মাষ্টারসহ কয়েকজন আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখেন তার ছেলে জীবন ইসলামের ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ ভ্যানের উপর পড়ে আছে।
এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত রতন কুমার রেন্টু সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, খুনিরা জীবন ইসলামকে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এটি অত্যন্ত পাশবিক ও নির্মম হত্যাকাণ্ড। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্থ করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available