সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সেই শিশু শফিক এখন কেমন আছেন। শনিবার তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিলেট সদর উপজেলার টিলারগাঁওয়ে শিশুটির বাড়িতে যান এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার পিংকু দাস। শফিক সেখানে তার মায়ের সঙ্গে বসবাস করে। শফিকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাটি সারাদেশে খুব আলোচিত হয়েছিলো। প্রথমে সে মারা যাওয়ার খবর প্রচার হলেও অল্পের জন্য তার জীবন রক্ষা পায়।
শফিক জানায়, ২ আগস্ট শুক্রবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাকে দেখে সে বাড়িতে (টিলাগাঁওয়ে) ফিরছিলো। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে পালিত হচ্ছিলো ‘প্রার্থনা ও গণমিছিল’। কর্মসূচি প্রতিহত করতে পুলিশ ছিলো মারমুখী। আন্দোলকারীদের ইট পাটকেলের জবাবে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ছিল। এই অবস্থায় আখালিয়ায় পৌঁছার পর শিশু শফিক পুলিশের গুলির মুখে পড়ে যায়। তার হাত, বুক ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে সে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে উদ্ধারে আন্দোলনকারীরা এগিয়ে আসতে চাইলে পুলিশ তখনও গুলি ছুঁড়তে থাকে। পরে পুলিশের এক সদস্য থাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনদিন চিকিৎসার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এখনও তার শরীরে অন্তত ডজন খানেক গুলি রয়ে গেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটের আখালিয়ায় পুলিশের গুলিতে আহত শিশু শফিক আলীর পাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন।
এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টার পিংকু দাসের সাথে আলাপকালে শিশু শফিকের মা আরফিনা বেগম জানান, সন্তানের দু’মাস বয়সে স্বামী আমির আলীরসঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তখন দুধের শিশুকে নিয়ে পিতার বাড়িতে উঠেন। অভাবের সংসারে শফিককে লেখাপড়া করাতে পারেননি। এই অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়া সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। শিশু শফিকের চিকিৎসা চালিয়ে নিতে তার মায়ের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। দেশবাসীসহ বর্তমান সরকারের কাছে শিশু শফিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান তার মা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available