• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৫ই আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ১০:২৮:৩৪ (20-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৫ই আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ১০:২৮:৩৪ (20-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ০৭:৫০:৪২

পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন

মিরপুর  (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহল বাড়িয়া এলাকায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের একটি টাওয়ার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে টাওয়ারটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে নদীতে। তবে আগে থেকেই বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনায় কোনো প্রভাব পড়েনি।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) ঈশ্বরদী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, ঝুঁকি বিবেচনায় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই ওই সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

টাওয়ারটি পদ্মায় বিলীন হওয়ার পরও বিদ্যুৎ সঞ্চালনে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না বলে জানান এই প্রকৌশলী। তিনি বলেন, এর আগে ভেড়ামারা থেকে রাজবাড়ীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। এখন বিকল্প হিসেবে ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এর আগে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা উপজেলার কয়েক শ’ হেক্টর ফসলিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে বসতঘর, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কও।

মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেব নগর গ্রামে আরও অন্তত ছয়টি টাওয়ার ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পোর্ট নির্মাণে প্রায় ৫শত মিটার গ্রোয়েন বাঁধ পদ্মা নদীর মূল প্রবাহ চ্যানেলের মধ্যে নির্মিত হওয়ায় নদী তার গতিপথ হারিয়েছে। এতে নতুন গতিপথের সন্ধানেই পদ্মা আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) পাউবোর কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে থেকেই পদ্মা নদীর ডান তীরে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভাঙন চলছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে এক হাজার চারশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীতে ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে নদীর ডান তীরে কুষ্টিয়ার অংশে ভাঙন বাড়ছে। ভাঙনকবলিত কয়েকটি স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নদীতে এখন পানি বেশি। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বানসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যচুক্তি প্রক্রিয়াধীন। পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।’

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতার বলেন, নদীভাঙন হচ্ছে এটা সত্য। প্রায় দিনই সেখানে আন্দোলন হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ


বাকৃবির নব নিযুক্ত উপাচার্যের যোগদান
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ০৯:১৯:০১








পঞ্চগড়ে বিজিবির ফ্রি চিকিৎসাসেবা
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ০৮:১৮:১১