নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমানকে (৩৫) জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টায় উপজেলার পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই ব্যাপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে মরদেহের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available