নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান। এরপর ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান তারা। আত্মগোপনে থেকে তারা দায়িত্ব পালন করছেন বলেও দাবি করেন।
২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪ ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ওই চেয়াম্যানগণ। এমনকি পরিষদের দায়িত্ব পালনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা।
চেয়ারম্যানদের পক্ষে নবাবগঞ্জের বাহ্রা ইউপি চেয়ারম্যান ড. সাফিল উদ্দিন মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদেরকে স্থানীয় কিছু বিএনপি নামধারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়। যে কারণে তারা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে।
নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ চৌধুরী বলেন, তিনি এলাকায় যেতে পারছেন না। দুর্বৃত্তরা তার বাড়ি ও ইউপি অফিসে হামলা করেছেন। তিনি গোপনে দূরে অবস্থান করে অফিসের সই স্বাক্ষর করছেন। এতে সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও তিনি মনে করেন। তিনি সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য চেয়ারম্যানরা আরও বলেন, আমরা এলাকায় নিরাপত্তা চাই। বিভিন্ন ভাতা সেবা গ্রহীতা, জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদসহ নানা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। একটি পক্ষ ছাত্র আন্দোলনের বিজয়কে পুঁজি করে ইউনিয়ন পরিষগুলো দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্সনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ, শোল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিসমত, চুড়াইনের আব্দুল জলিল, কলাকোপার ইব্রাহিম খলিল, গালিমপুরের আজিজুর রহমান আজিম, বান্দুরার হুমায়ুন কবির, কৈলাইলের বশির আহমেদ, যন্ত্রাইলের মনিরুজ্জামান তুহিন, বারুয়াখালীর এম.এ বারী বাবুল মোল্লা, আগলার শিরীন চৌধুরী, জয়কৃষ্ণপুরের রেশমা আক্তার প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available