হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার প্রতিটি ফসলের মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। ইরি ও বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় স্বপ্ন বুনছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছর এই মৌসুমে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭ হাজার ১ শত ২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে বিনামূল্যে বোরা ও উফশি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রার বেশি ধান চাষ হয়েছে। এবারে ৭ হাজার ৫শত ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে ধানের বাম্পার ফলনের আশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও চাষিদের।
এদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সারের সরবারহ থাকায় কৃষকরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যুত নিয়েও পড়তে হয়নি ভোগান্তিতে।
উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের চাষি মিজানুর রহমান বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা বেশি বোরো ধান চাষ করেছি। চাষের আগে শ্রমিকের একটু সংকট থাকলেও সার ও বিদ্যুতের কোন ঝামেলা হয় নাই। আশা করছি, এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পর্যাপ্ত প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বোয়ালদাড় ইউনিয়নের কৃষক কাওসার রহমান বলেন, ধান গাছে সময়মতো পানি ও সার-কীটনাশক দেওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়।
এবারে আমাদের এলাকায় বোরো ধানে এখন তেমন কোন পোকার আক্রমণ হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে অনেক কৃষক জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতিছে। তবে এবার বড় ধরনের ঝড় বা শীলা বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
হাকিমপুর হিলি পৌর সভার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক রিপন বসাক বলেন, আমি এবার প্রায় ২০ বিঘা জমিতে বোরো উফশি ধান চাষ করেছি। আশা করছি বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। দাম ভালো পেলে খরচ পুষিয়ে নিতে পারবো।
উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাজিব আহম্মেদ বলেন, ইরি ও বোরো ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন বোরো চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, এবারের বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ৭ হাজার ১’শ ২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৭ হাজার ৫’শ ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার হাকিমপুর হিলি এলাকার কোথাও ব্লাস্ট রোগ বা মাজড়া পোকার আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available