মোজাহিদ সরকার, ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ডিলারের বিরুদ্ধে কালোবাজারে পণ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক টিসিবির কার্ড থাকতেই পণ্য শেষ হয়ে গেছে এমনটাই বলে মালামাল নিয়ে চলে গেছেন সেই টিসিবির ডিলার।
৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ইটনা সদর ইউনিয়নের এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এবারই নতুন নয়, এর আগেও এই ডিলারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিলো। গত মাসেও পণ্য শেষ হয়ে গেছে বলে মালামাল নিয়ে চলে গেছেন তিনি, কিন্তু তখনও অনেক টিসিবির কার্ড বাকি ছিলো।
টিসিবির পণ্য নিতে আসা শতাধিক মানুষ অভিযোগ করে জানান, ‘রমজান মাসে রোজা রেখে রোদের মধ্যে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি। কত মানুষের চাপাচাপি সহ্য করছি, এখন ডিলার বলতেছে মাল নাই। আমাদের কার্ড আছে, তাহলে আমাদের কার্ডের মাল কয় (কোথায়) গেছে?’
সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মেম্বার মোঃ সারোয়ার আলম অভিযোগ করে বলেন, সরকার মানুষের উপকারে জন্য ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য টিসিবিকে মালামাল দিতেছে। কিন্তু এই টিসিবির ডিলাররা গরীব অসহায় মানুষের পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করে কার্ড থাকতেই পণ্য শেষ বলে চলে যায়। জনগণের কাছে টিসিবির কার্ড আছে, তাহলে পণ্য শেষ হলো কীভাবে? গত মাসেও এমন সমস্যা হয়েছিল- কার্ড থাকতেই পণ্য শেষ হয়ে গেছে এমনটাই বলছিলো। আমরা এটার সঠিক বিচার চাই।
সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাউর অভিযোগ করেছেন ডিলার মোঃ চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৩০-৪০ জনের টিসিবির কার্ড আছে কিন্তু পণ্য পেলো না। এর আগেরবারও আমার কিছু লোক বাদ পড়েছে। আমরা এটার বিচার চাই।
সদর ইউনিয়নের সচিব আক্তার উদ্দিন জানান, আমি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিলাম, গরমে আমার শরীর খারাপ লাগতেছিলো এই জন্য চলে আসি। এরপর জানতে পারি পণ্য শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কার্ড তো বাড়ানো হয় নাই, তাহলে শেষ হলো কেন বুঝতে পারছি না!
ট্যাগ অফিসার (উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা) রাজীব চন্দ্র দাসের পরিবর্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগ স্বীকার করে জানান, টিসিবি পণ্য কম পড়েছে। টিসিবির পণ্য দেওয়ার শেষ পর্যায়ে প্রায় শতাধিক কার্ড ছিলো যারা টিসিবি পণ্য নিতে পারে নাই। ডিলার বলেছে পরে পণ্য দিবে।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার মোঃ চাঁন মিয়া। তিনি বলেন, আমি ২৮৫৪ জনের পণ্য নিয়ে গেছি, একটা মালও কম নেই নাই। কিন্তু কেমন করে মাল কম পড়েছে বলতে পারি না। তিনি দাবি করেন, ২০-৫০টা কম পড়তে পারে তবে শতাধিক হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণে কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি খবর নিয়ে দেখবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available