• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:০৯:০৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:০৯:০৫ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

বিলুপ্তের পথে নেত্রকোনার জনপ্রিয় মাটির কলসি

৮ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ১১:২৫:৩৮

বিলুপ্তের পথে নেত্রকোনার জনপ্রিয় মাটির কলসি

আমিনুল ইসলাম মনি (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: এক সময় গরম পড়লেই খোঁজ পড়ত মাটির কুঁজো-কলসির। রোদে তেতে পুড়ে ঘরে ফিরে মাটির কলসি কিংবা কুঁজোর এক গ্লাস পানি সারা শরীর জুড়িয়ে দিত। তবে দিন পাল্টেছে। এখন ঘরে ঘরে আছে বিদ্যুৎ। চলছে বাতানুকূল যন্ত্র। তাই পানির বোতলের গায়ে পরছে ঠাণ্ডার পরত।

বেশিরভাগ ঘরেই এখন ফ্রিজ ঢুকে পড়েছে। তাই আগের মতো মাটির কুঁজো-কলসির ব্যবহার নেই। তবে এখনও গরম পড়লে অনেক বাড়িতে সেসব জিনিসের খোঁজ পড়ে। কিন্তু আগের তুলনায় চাহিদা নেই বললেই চলে৷ উপযুক্ত মাটির অভাবও এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই কুমোরেরা এখন বড় মাটির কলসি কিংবা কুঁজো তৈরি করেন না। তাঁরা শুধুই ছোট কলসি গড়েন। কারণ, ছোট কলসির চাহিদা গোটা বছরই অল্পবিস্তর থাকে। পূজো হোক কিংবা বিয়ে, ছোট কলসি লাগবেই।

কেন বড় থেকে ছোট কলসির অবতরণ? তারই খোঁজ মিলল পাল পাড়ার কুমোরদের কাছে। বারহাট্টার পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিতাই চন্দ্র পাল। ৫০ বছর ধরে তারা মাটির কারবারের সঙ্গে যুক্ত। একসময় প্রচুর মাটির কলসি, হাঁড়িসহ মাটির অন্যান্য জিনিস তৈরি করতেন তারা। গ্রীষ্মকালে মাটির কলসির চাহিদা ছিল দেদার। চাকে মাটির কলস তৈরি করে বাড়ির সামনে উঠোনে শুকাতে দিতেন। তারপর তৈরি হবার পর সে গুলিকে বাজারে পাঠাতেন। তার মাটির কলসি বারহাট্টা ছাড়াও এমনকি নেত্রকোনা সংলগ্ন এলাকায় পাড়ি দিত।

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির জামানায় সেই মাটির কলসি আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। মানুষজন মাটির কলস আর কিনতে চান না। ফলে উপযুক্ত মাটির অভাবে ও চাহিদা না থাকায় এখন কুমোরেরা বড় মাটির কলসি কিংবা কুঁজো তৈরি করেন না।

এ বিষয়ে মৃৎশিল্পীর স্ত্রী জয়ন্তী পাল জানান, একসময় কলসির চাহিদা থাকলেও বর্তমানে সেই কলসির চাহিদা নেই। মানুষজন আর কলসি কিনেন না। এখন প্রত্যেকের বাড়িতে ফ্রিজ হয়েছে। হয়েছে অত্যাধুনিক জল ধারণ করার ঠান্ডা পাত্র। যার কারনে আস্তে আস্তে চাহিদা কমেছে মাটির কলসির। ফলে আগামী প্রজন্মও আর আসতে চাইছে না এই পেশায়।

নেত্রকোনার বারহাট্টা পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ পাল ৩০ বছর ধরে তারা মাটির কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তিনি জানান, একসময় প্রচুর মাটির কলসি, হারিয়ে মাটির অন্যান্য জিনিস তারা তৈরি করতেন। গ্রীষ্মকালে মাটির কলসির চাহিদা ছিল অনেক। চাকে মাটির কলস তৈরি করে বাড়ির সামনে উঠোনে শুকাতে দিতেন তারপর তৈরি হবার পর সেগুলিকে বাজারে পাঠাতেন।

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির জামানায় সেই মাটির কলসি আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে । মানুষজন মাটির কলসি আর কিনতে চান না। উপযুক্ত মাটির অভাবে এখন কুমোররা বড় মাটির কলসি কিংবা কুঁজো তৈরি করেন না।

এ বিষয়ে মৃৎশিল্পীর অনিতা পাল জানান, একসময় কলসির চাহিদা থাকলেও এখন বর্তমানে সেই কলসির চাহিদা নেই। মানুষজন আর কলসি কিনেন না। এখন প্রত্যেকের বাড়িতে ফ্রিজ হয়েছে। হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পানির ধারণ করার ঠান্ডা পাত্র। যার কারণে আস্তে আস্তে চাহিদা কমেছে মাটির কলসির। আমাদের এই পেসার উপরে নির্ভর করে সংসার চলে। এখন আমরা খুব কষ্টে আছি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৪:২০:৫২





আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
২১ নভেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৬:৫৫