কুমিল্লা প্রতিনিধি: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে কাজের কথা বলে হবিগঞ্জ থেকে কুমিল্লার দেবীদ্বারে এনে নুরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর শোবার ঘরে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে ঘাতক নোয়াজ আলিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
ঘাতক নোয়াজ আলী সাংবাদিকদের জানান, প্রায় চার বছর পূর্বে নুরুল ইসলামের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। সেই সময়ে নোয়াজ আলির একমাত্র পুত্র শিমুল অসুস্থ হয়ে মারা যায়। ওই সময় নোয়াজ আলী ধারণা করেন কবিরাজের মাধ্যমে তাবিজ করে তার পুত্রকে মেরে ফেলেছে নুরুল ইসলাম। এর কিছুদিন পরে পুত্র শোকে তার স্ত্রীও মারা যায়। সেই থেকেই নোয়াজ আলী প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে।
চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার নুরুল ইসলামকে কাজের কথা বলে দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে নিয়ে আসে নোয়াজ আলী। সুযোগ বুঝে ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৩টায় ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। হত্যা পর শোবার ঘরেই মাটিতে পুঁতে রাখে মরদেহ। আটক নোয়াজ আলী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বরকান্দি গ্রামের (লামা বাড়ির) মৃত আবদল আলী পুত্র এবং নিহত নুরুল ইসলাম একই এলাকার মোকলিস মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস মিয়া জানান, পিরোজপুরে সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত ছোট দোকান ঘরে নোয়াজ আলী থাকতো। স্থানীয় এক ব্যক্তি শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ওই ঘরে গিয়ে মাটির উপরে হাতের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। ওই সময় মানুষ ছুটে এসে দেখেন ঘরের ভিতরে মরদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করলে নোয়াজ আলী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় স্থানীয় গ্রামবাসী নোয়াজ আলিকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) শাহিনুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আটক নোয়াজ আলী হত্যার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available