মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাতির ইটের আঘাতে দাদা মকবুল হোসেনের (৬২) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বলরামপুর গ্রামে। নিহত মকবুল হোসেন পেশায় অটোভ্যান চালক ও খাজুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির মা মমতাজ বেগম ও তার সৎ পিতা নুরনবীকে পুলিশ আটক করেছে।
এ ঘটনায় নিহত মকবুল হোসেনের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে মেহেদী হাসান (১২), তার মা মমতাজ বেগম (৩৫) ও সৎ পিতা মো. নুরনবীকে আসামী করে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। নুরনবী একই গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে।
নিহত মকবুলের ছোট স্ত্রী চানবানু বলেন, বছর তিনেক আগে তার ভাগ্নে নুরনবী আগের পক্ষের সন্তানসহ মমতাজ বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। ঘটনার দিন নুরনবীর সৎ ছেলে মেহেদী হাসান তার ঘরে ঢিল ছুড়তে থাকলে সে তার মা মমতাজ বেগমকে বিষয়টি জানায়। এতে তার ভাগ্নে বউ মমতাজ বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক সময় স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে স্বামী নুরনবীও লাঠি দিয়ে তার খালা চানবানুকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় মমতাজ বেগমও চানবানুর চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারী মারপিট করে। স্ত্রী চানবানুকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে খালু মকবুল হোসেনের উপরও চড়াও হন নুরনবী ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম। এ সময় শিশু মেহেদী হাসান একটি ইটের টুকরো তুলে দাদা মকবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা মকবুল হোসেনকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাশমত আলী জানান, এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। মরদেহ ময়নতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available