নুরুজ্জামান পাভেল, মেহেরপুর: জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। অল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে ইনডোর-আউটডোরে প্রতিদিন ৮ শতাধিক রোগীকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া জ্বালানি তেলের অভাবে ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৬৩ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। রোগীর চাহিদা বিবেচনায় ২০০৬ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। জনবল নিয়োগ না দিয়ে নতুন ভবনে ২০১৭ সালে দায়সারাভাবে সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়।
হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকট থাকার কারণে উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কনসালট্যান্টসহ চিকিৎসকদের ২১টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ৮ জন। নার্স ৩০ জনের পরিবর্তে ২৫ জন কর্মরত থাকলেও কেউ শিক্ষা ও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আবার কেউ ডেপুটেশনে অন্যত্র রয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবী আয়াদেরও দেয়া হয় না নির্দিষ্ট বেতন। এছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বেশ কয়েকটি পদ রয়েছে ফাঁকা।
এদিকে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ না থাকার কারণে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে ৬ মাস ধরে। নিরুপায় হয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে কয়েকগুণ বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের জেনারেটর বন্ধ থাকায় লোডশেডিংয়ের সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিতে হয়। হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ ধরে। লিফট না থাকায় নিচতলা থেকে ৪র্থ তলায় রোগী উঠানামা করতে বেগ পেতে হয় স্বজনদের।
উপজেলাবাসীর দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করে হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধি করা হোক।
নার্সিং সুপারভাইজার আমেনা খাতুন বলেন, প্রতিদিন ২ শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। যা জনবল আছে তা দিয়ে ২০ শয্যার হাসপাতাল চালানোই কঠিন। নামমাত্র জনবল দিয়ে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা সুপ্রভারানী বলেন, হাসপাতালের বেড ও জনবলসংখ্যা বাড়াতে হবে। তা না হলে সেবা দেয়া কষ্টসাধ্য।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available