সাইফুল ইসলাম সায়েফ, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগড়েইল নামক এলাকায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৭এপ্রিল শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বসতবাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষাধিক টাকার বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা বলছে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের অন্ধকারে তার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছে সেটা তুলে নিতেই এমনটা করে যাচ্ছে তারা। তাদের ইচ্ছে ছিল আমাদের পুড়িয়ে মারার। স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় আমরা প্রাণে বেঁচে গেলাম। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাচ্ছি। চরম আতংকে দিন কাটছে আমাদের।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মালিক ফয়জুল করিমের স্ত্রী রোকসানা বেগম বিলাপ করে কান্না জড়িত কন্ঠে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের বর্ণনা দেন। এসময় সে স্থানিয় প্রতিপক্ষ আলী আসকরের পুত্র মোজাম্মেল, তার ভাই কপিল, মোছাফফর, বাবুল, সাইফুলসহ সঙ্গবদ্ধ ১০/১২ জনের লাঠিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান।
স্থানিয়রা জানান, থানায় দায়েরকৃত শিশু ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজন কর্তৃক প্রথমে বাড়ি ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে ওই রাতে একদল উচ্ছ্বঙ্খল যুবক জড়ো হয় লাঠিসোঠা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে। ফয়জুল করিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১২ জানুয়ারি প্রতিক্ষদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি শিশু ধর্ষণ মামলা হয়। এই মামলায় ১ মাত্র আসামি মঈন উদ্দীনকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। এই ঘটনার জের ধরে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে লাগাতার নির্যাতন করে আসছে আসামি পক্ষের লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭এপ্রিল শুক্রবার বাদীর বসতবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় আসামি পক্ষের লোকজন।
এবিষয়ে মহেশখালী থানার আওতাধীন মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির (আইসি) এস আই হাসান জানিয়েছেন, কে বা কারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available