নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলায় দাফনের ৫৯ দিন পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত পোশাক শ্রমিক শফিক মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়ের চিথলিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এ সময় শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল হালিম, মালার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) উলিয়ার রহমান, নকলা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আশরাউল আলমসহ নকলা থানার পুলিশ সদস্য, নিহতের পরিবারের সদস্য, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত শফিক মিয়া চিথলিয়া গ্রামের দরিদ্র মৎস্যজীবী জুলহাস মিয়ার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের মধ্যে মেঝো সন্তান ছিলেন। তিনি বিবাহিত ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। শফিক মিয়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট রোববার বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর সেনপাড়া নামক স্থানে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে শফিকের মরদেহ এনে ৫ আগস্ট সোমবার চিথলিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট শুক্রবার নিহত শফিকের চাচাতো ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্তত ১৩৫ জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা (যার নং-১৫) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিক মিয়ার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করতে কবর থেকে শফিকের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের ওই নির্দেশ মোতাবেক দাফনের ৫৯ দিন পরে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কবর থেকে শফিক মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available