সিলেট প্রতিনিধি: মসজিদ, বাসাবাড়ি, খাবার হোটেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ির স্ট্যান্ড কী নেই এখানে। সবই গড়ে তোলা হয়েছে রেলের জমি অবৈধভাবে দখল করে। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও পরদিনই আবার দখলদাররা ফিরে আসেন আগের জায়গায়। এভাবেই সিলেটে রেলের শত শত একর ভূমি বেদখল হয়েছে।
ভারতের আসামে চা রোপণকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৮৯১ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির মাধ্যমে বাংলার পূর্বদিকে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ধাপে ধাপে এই রেলস্টেশনটি আধুনিকায়ন করা হয়। সিলেটে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে স্টেশনসহ আশেপাশের এলাকায়। এসব সম্পত্তির মধ্যে রেলস্টেশন ছাড়া বেশিরভাগই অবৈধ দখলদাররা যুগের পর যুগ দখল করে রেখেছেন। প্রভাবশালীদের কেউ কেউ রেলের ভূমিতে টিনসেড, পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
পাশাপাশি রেলস্টেশনের প্রবেশ পথে রেলের জমিতে মসজিদ, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসের টিকিট কাউন্টার, সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে রেলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দখলদাররা জানান, বাপ দাদার আমল থেকে তারা বসবাস করে আসছেন। অনেকে আবার এ সকল সম্পত্তি নিজেদের দাবি করলেও কোনো ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এদিকে সিলেটে রেলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে থাকার কথা স্বীকার করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলের অনেক সম্পত্তি অবৈধভাবে বেদখলে রয়েছে। বার বার উচ্ছেদ করা হলেও লোকবলের অভাবে তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। উচ্ছেদের পরদিনই দখলদাররা ফিরে আসছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available