লোকমান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার ক্ষিদ্র কালিকাপুর-আন্ধারকোটা গ্রামের আধা-কিলোমিটার এলাকার রাস্তার দু’পাশের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তার উন্নয়নকাজের সময় দু’পাশে থাকা ছোটবড় ১ হাজার গাছ কেটে ফেলাার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম ও মেম্বার মাঃ মিলনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আন্ধারকোটা ও ক্ষিদ্র কালিকাপুর গ্রামবাসির পক্ষে জিল্লুর রহমান এবং ফজলুল হক ২১ মার্চ মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষিদ্র কালিকাপুর-আন্ধারকোটার এ রাস্তায় সরকারিভাবে কোন অধিগ্রহণ করা হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেহেদি হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, নদীর পাশের এই রাস্তায় মাটিকাটার জন্য সরকারিভাবে দেড়টন চাল ও ২ টন গম বরাদ্দ করা হয়। গত মার্চ মাসে রাস্তাটিতে ভেকু মেশিনের সাহায্যে মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। এ সময় কোনরকম অধিগ্রহণ ও টেন্ডার ছাড়াই রাস্তার দুই পাশের ব্যক্তিমালিকানাধীন গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মিলন মেম্বারের বিরুদ্ধে। অভিযোগে আম, কাঠাল, নিম, ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় প্রায় ১ হাজার গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।
ক্ষিদ্র কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলী বলেন, তার লাগানো প্রায় ৩৫টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। মিলন মেম্বারের লোকজন তার কোন কথাই শোনেনি। এছাড়াও আন্ধার কোটা গ্রামের আছির উদ্দিনের ৩০টি, জলু হোসেনের ২০টি গাছসহ চেয়ারম্যান মেম্বারের লোকেরা একইভাবে কেটে নিয়ে গেছে শতশত গাছ। তারা এ ঘটনার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। একই সাথে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম বলেন, রাস্তায় মাটি কাটার স্বার্থে ২ গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে আলোচনা করে কিছু গাছ কাটতে হয়েছে, যার সংখ্যা খুবই সামান্য। কেটে ফেলা গাছের যে দাম গ্রামের স্থানীয় মসজিদের উন্নয়নে দেয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, মাটি কেটে রাস্তাটি সংস্কার করার দায়িত্ব আমার। কিন্তু রাস্তার গাছ যেহেতু সরকারি, তাই এ গাছ কাটার ক্ষমতা আমার নেই। কে বা কারা রাস্তার কাজের অজুহাতে গাছ কেটেছে, সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলাম অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি সে সময় কেউ আমাকে জানায় নি। এরপরও অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available