সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: বামনডাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ পুলিশের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে মামলা হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের ইব্রাহিমের স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, রাজশাহী রেঞ্জে সদ্য বদলিকৃত ইনচার্জ আব্দুল আজিজ, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুলিয়াস রহমান, ঢাকা ডিএমপি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা ও বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মো. আসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহাবাজ গ্রামের আব্দুল হামিদ ও আমির উদ্দিন একই উপজেলার তালুক সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের ইব্রাহিমের কাছ থেকে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া পাঠানো ও জমি বন্দক নেয়ার কথা বলে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামার মাধ্যমে সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা নেন। কিন্তু তারা বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হন। এদিকে সেই টাকা ফেরত না দেয়ায় চাপ দেন ইব্রাহিম। এর জেরে আব্দুল হামিদের সঙ্গে যোগসাজসে গত ২৭ জুলাই রাতে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর আজিজ ও এসআই জুলিয়াসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ইব্রাহিমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। এ সময় মামলার বাদী লাভলী তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে এসআই জুলিয়াস এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ইব্রাহিমকে মাদক ও নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর হুমকি দেন। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার এসআই জুলিয়াসকে ৭০ হাজার টাকা দিলে ইব্রাহিমকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী লাভলী বেগম বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে সিআর মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাইবান্ধা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ আব্দুল আজিজ এশিয়ান টেলিভিশনকে জানান, ইব্রাহিম আকন্দের বিরুদ্ধে প্রতরণাসহ থানায় একাধিক মামলায় রয়েছে। সেদিন অভিযানে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আমি সেদিন অভিযানে ছিলাম না বা এ ধরনের ঘটনাও ঘটেনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available