নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বেরসকারি সংস্থা মৌসুমী এনজিওর মাঠকর্মী জুয়েল রানার বিরুদ্ধে কিস্তির বই নিতে গিয়ে এক প্রবাসীর গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিচার চেয়ে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বলছে, অভিযোগটি তদন্ত শুরু হয়েছে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নলডাঙ্গা থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর বেলা ১০টার দিকে উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে কিস্তি আদায়ের বই নিতে যায় বেসরকারি সংস্থা এনজিও মৌসুমীর মাঠকর্মী জুয়েল রানা। এসময় ভুক্তভোগী গৃহবধূ এনজিও মৌসুমীর মাঠকর্মী জুয়েল রানাকে বাড়ির বারান্দায় বসতে বলে শয়নঘরে কিস্তি আদায়ের বই আনতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এনজিওর মাঠকর্মী জুয়েল রানা শয়নঘরে ঢুকে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। গৃহবধূ চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসায় মাঠকর্মী জুয়েল পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, এ ঘটনায় এনজিওকর্মী জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মৌসুমী এনজিওর নলডাঙ্গা শাখা ম্যানেজার শামীম হোসেনের কাছে অভিযোগ দিলে কোনো প্রতিকার করেননি। মাঠকর্মী জুয়েল রানাকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ায় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
বেরসকারি সংস্থা মৌসুমী এনজিও নলডাঙ্গা শাখা ম্যানেজার শামীম হোসেন বলেন, এ ঘটনা জানার পর মাঠকর্মী জুয়েল রানাকে আমাদের নওগাঁর প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৌসুমী এনজিও মাঠকর্মী অভিযুক্ত জুয়েল রানা বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যখন ওই গৃহবধূর বাড়িতে কিস্তি আদায়ের বই নিতে যাই, তখন গৃহবধূ তার বাড়ির গেট লাগিয়ে চিৎকার শুরু করেন। আমি ওই গৃহবধূর কোনো শ্লীলতাহানি করিনি। এ ঘটনা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করায় গত ১০ অক্টোবর বৃস্পতিবার আমাকে চাকরি থেকে বের করে দেন।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে, সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available