নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের আলোচিত সুশান্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূলহোতা তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ।
১২ অক্টোবর শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নাসির উদ্দিন। গ্রেপ্তার আসামিদের রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে কবির হোসেন প্রকাশ শুক্কু (২২)। শ্রীগর মোল্লাবাড়ির কবির আহাম্মেদের ছেলে জুনায়েদ আহাম্মেদ কায়েস (২৩)। নাসিরাবাদ গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে মো. হক সুজন (২২)। গ্রেফতার তিন আসামীদের প্রাথমিক হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নাসির উদ্দিন বলেন, তাদের রোববার কোর্টে তুলে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে এই হত্যাকাণ্ড মিশনে আরও কারা জড়িত তা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি আর কিছু বলেননি।
২০ আগস্ট মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সলিমগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নাসির উদ্দিন। ১৯ আগস্ট সকালে উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে সুশান্ত সরকারের (৩০) এর মরদেহ গ্রামের পাশে থাকা মেঘনা নদীর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত সুশান্তের মা রুপালি রানি সরকার নাসিরাবাদ গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে আশিক ও মো. সেলিম মিয়া, শ্রীঘর গ্রামের পাচু মিয়ার ছেলে শাজাহান সিরাজ ও জাকির হোসেন, শাহজাহান সিরাজের ছেলে বাবু প্রকাশ তুহিন ও মোহাম্মদ তুষারকে আসামি করে মামলা করেন।
সুশান্তের মা মামলায় উল্লেখ করেন, আশিকের সাথে মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে আশিক তার দলবল নিয়ে এসে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। পরে মেঘনার পাড়ে আমার ছেলের মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
বিভিন্ন সূত্রে হত্যাকাণ্ডের অন্য এক চিত্র উঠে আসে। শ্রীগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রসিদ জানান, আমরা শুনতে পেয়েছি ঘটনার ১ দিন আগে তাদের কাছে একটি কুড়িয়ে পাওয়া মোবাইল ছিল। সুশান্ত মোবাইলটি জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এই নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এছাড়া, সুশান্ত তার মোটরসাইকেলটি বিক্রি করেছে পার্শ্ববর্তী গ্রাম শ্যামগ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে জুয়েলের কাছে।
আশিকের ভাই আসামি সেলিম মিয়া বলেন, আমরা গ্রাম্য রাজনীতির শিকার। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদেরকে আসামি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সেলিমগঞ্জ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ আল আমিন বলেন, মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আরও ব্যাপক তদন্ত প্রয়োজন, ইতিমধ্যে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available