স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর: বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে এবার প্রাণ গেলো (১৭) বছর বয়সী এক কিশোরীর। সে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের চর অযোধ্যা গ্রামের পঞ্চানন বাওয়ালীর মেয়ে। সে চরঅযোধ্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
১৩ অক্টোবর রোববার রাত ৮টার পর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনের ব্যবধানে বিষাক্ত মদ পানে ফরিদপুরে ৩ নারীর প্রাণ গেলা।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকাল ৫টার দিকে স্বপ্নার অসুস্থতার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে মদ পানের কথা স্বীকার করে। তবে কখন কাদের সঙ্গে মদ পান করেছে তা জানায়নি। পরে গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রোগীর বড় বোন সুস্মিতা বাওয়ালির জানিয়েছেন, তার বোনের বিকাল থেকেই ঘন ঘন পায়খানা ও বমি হলে হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে তার ইসিজি করা হলে তাকে মৃত পাওয়া যায়।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবিদ হোসেন জানান, স্বপ্না বাওয়ালি নামে ১৭ বছরের এক কিশোরীর অ্যালকোহল পানে মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার ওসি আব্দুল গফফার জানান, বিষাক্ত মদপানে স্বপ্নার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পানে তিন নারীর মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি শ্রীপ্রা গোস্বামী বলেন, কোনও অপমৃত্যু কাম্য নয়। যদি নিয়ন্ত্রিতভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনার অ্যালকোহল বিক্রি হতো তাহলে তো এই দুর্ঘটনা দেখতে হতো না।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম জানান, অ্যালকোহল পানে মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। তবে ভিসেরা রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানতে পারবো ।
উল্লেখ্য, এর আগে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের দুই ছাত্রী শহরের আলীপুরে পূজা বিশ্বাস (২০) ও রত্না সাহা (২৪) নামের দুই ছাত্রী বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে মারা যান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available