নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ আহমেদকে হাত-পা বেঁধে ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকার ও পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে। ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে হাসপাতালের একটি রুম থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে নবীনগর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান খন্দকার ও জসিম উদ্দিন সরকারসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেছেন চিকিৎসক পারভেজ। ইতোমধ্যে হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেফতার করে ১৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পারভেজ আহমেদ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকার উনাকে ডাকাডাকি করলে তিনি সেখানে যেতে অনীহা জানান। এ সময় জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জন রুমে ঢুকে পারভেজকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হাত-পা বেধেঁ রাখে।
হাসপাতালের ম্যানেজার ঝরনা ঘোষ বলেন, একজন রোগী এলে ডাক্তার সাহেবকে গিয়ে বলি, স্যার একজন রোগী এসেছে, তখন ডাক্তার সাহেব উত্তেজিত হয়ে আমাকে জানান, আমার এখন কোনো ডিউটি নেই, আমি যেতে পারবো না, তোমার মালিককে জানিয়ে দাও। পরে হাসপাতালের মালিক হাবিব স্যার এসেও ডাক্তার সাহেবকে অনুরোধ করেন রোগী দেখার জন্য। কিন্তু ডাক্তার সাহেব কারো কোনো কথাই মানতে নারাজ। এ নিয়ে ডাক্তার সাহেব ও হাবিব স্যার তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় হাবিব স্যারও আহত হয়েছেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, আমাকে একজন ফোন করে জানান মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে মারামারি হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available