মোজাহিদ সরকার, ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে আগাম ব্রি-২৮ এবং ব্রি-৮১ জাতের ধান। ফলে সারাবছরের খাদ্যের জোগান নিয়ে কৃষকরা এখন দিশেহারা। রোগের প্রভাবে ধানে চিটা হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাওরের সাধারণ কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৭ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮ এবং ২৭ হেক্টর জমিতে ব্রি-৮১ ধানের আবাদ হয়েছে। কিন্তু ব্লাস্ট রোগের প্রভাবে ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা নিয়ে সংশয়ে পড়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, জমিতে ব্লাস্টের আক্রমনে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে হাজার হাজার কৃষক হয়ে পড়েছে দিশেহারা। অন্যদিকে আক্রান্ত ধান স্থানীয়ভাবে বিক্রি না হওয়ায় কৃষকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, ধানের শীষ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা পুড়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। দেখে পাকা ধান মনে হলেও কেটে মাড়াই করার পর তা থেকে ভালো ধান পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই ধার-দেনা করে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ধান নষ্ট হওয়ায় ঋণ শোধ করা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে দুঃচিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
এ দিকে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব ইকবাল বলেন, কৃষকদের আমরা ব্রি-২৮ এবং ৮১ এই দুই জাতের ধান চাষ করতে বারবার নিষেধ করলেও তারা আমাদের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই দুই জাতের ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কমে যাওয়ায় ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা উপর মহলকে বিষয়টি জানিয়েছি, যেনো আগামী বছর এই দুই জাতের বীজ না আসে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available