আল-আমিন, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: আমাদের সমাজের এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের কর্ম, জ্ঞান, সততার কারণে হয়ে ওঠেন অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র। এমন একজন হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. উজ্জল হোসেন। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের সার্বিক চিত্র। প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আনার পাশাপাশি প্রতিটি দপ্তরের কাজে ফিরেছে স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি, বেড়েছে সেবার মান এবং জবাবদিহিতা। জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, হাটবাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করে চলেছেন তিনি।
উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকে উল্লাপাড়ায় সুবিধাবঞ্চিত মানষের সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এ কর্মকর্তা। ইচ্ছা এবং সাহস থাকলে কঠিন কাজেও সফলতা সম্ভব- সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ডে এমনটাই দেখা গেছে। উপজেলা পরিষদের প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সরকারি সম্পত্তির অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার এবং দখল প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন। দাপ্তরিক কাজের বাইরেও আর্তমানবতার সেবায় ছুঁটে বেড়ান উল্লাপাড়ার বিভিন্ন প্রান্তে। কথা বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ’ এর লক্ষে তিনি চলমান রেখেছেন খাস জমি উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় কমেছে জনভোগান্তি। ফলে বেড়েছে জনসেবার মান। যে কোন অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া, গণমাধ্যম, ফেসবুক ও মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক সমাধানে ব্যবস্থা করছেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণের লক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ এর আওতায় মোট ৩’শ ৪টি পরিবারকে পূনর্বাসন করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর থেকেই নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারী কোন অফিসে সেবা প্রত্যাশীদের থেকে কেউ অবৈধ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে আমাকে সরাসরি জানাবেন। সরকার আমাকে এখানে পাঠিয়েছে জনগনের সেবা করতে। আর আমি সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে তিন ফসিল জমিতে পুকুর খনন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তা বন্ধ করা হয়েছে। অবৈধ দখলদার থেকে খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। সকল নাগরিকের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার অফিসে চাইলেই যেকেউ অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
ইউএনওর এসব কাজের প্রসংশা করছেন স্থানীয় সুশিল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available