গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় সালিশ বৈঠক বসার আগেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আমেনা বিবি (৫৮) নামের এক মহিলা মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী নসু ঘরামীকে আটক করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ অক্টোবর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছোট চৌদ্দকানী গ্রামের গুরিন্দা বাজারের দক্ষিণ পাশে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধলা ঘরামী ও নসু ঘরামী আপন দুই ভাইয়ের ছেলেদের মধ্যে ৬ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ধলা ঘরামী প্রথমে আমেনা বিবিকে বিবাহ করে। সেই ঘরে তিন ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। শাহিন (৩২), ফিরোজ (৩০) শামিম (২৭) ও লাকি বেগম (২৫)। ধলা ঘরামী মারা যাবার পর তার দেবর নসু ঘরামীর সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে আমেনা বিবির বিবাহ হয়। সেই ঘরে কোনো ছেলে মেয়ে ছিল না।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় নসু ঘরামীর নেতৃত্বে তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান রিপন (৩৫), হাসান (৩২) ও তার ভাগ্নে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার খলিফা (৫৫) ও আমিনুল ইসলাম (৪৫) দলবল নিয়ে বিরোধ পূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে গেলে আমেনা বেগমের পূর্বের ঘরের সন্তান শাহিন, শামিম বাধা দিলে তাদের প্রথমে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করে। পুত্রদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমেনা বেগম ছাড়াতে গেলে তাকেও নসু ঘরামীর ভাগ্নেরা লাথি ও কিল ঘুষি মারলে আমেনা বিবি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষণিক গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমেনা বিবিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বুধবার ওই বাড়িতে বৈঠক করে সালিশরা সমাধান করবে বলে জানা যায়। এর পূর্বে একাধিকবার সালিশ হয়েছিল।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান জানান, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে ঘর তুলতে গেলে নসূ ঘরামীর নেতৃত্বে ভিকটিম আমেনাকে মারধর করলে আমেনা বিবি মারা যায়। তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available