ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়ায় আলোচিত নাবালিকা স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি লম্পট ইসলাম মোড়ল (৫২) অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করছে।
দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পালিয়ে থাকা এ আসামি ১৪ অক্টোবর সোমবার আত্মসমর্পণ করে বলে জানিয়েছে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মনিরুজ্জামান। সে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দকাটি গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোড়লের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও ভিকটিম পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আসামি ভিকটিমের সর্ম্পকে প্রতিবেশী দাদু হয়। সেই সুবাদে আসামীর অবাধে আসা যাওয়া ছিলো ওই বাড়িতে। ভিকটিম স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। বিভিন্ন সময়ে একা পেয়ে মেয়েটিকে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গীসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল আসামি। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে আসামিকে এহেন কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকতে অনুরোধ করে। এতে ধর্ষক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও ক্ষতি করার মানসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে।
প্রসঙ্গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিকটিমের বাবা বাড়ির বাহিরে থাকার সুযোগে ভিকটিম ও তার মা রুমা বেগম রাতের খাওয়া শেষে তারা পৃথক পৃথক শয়নকক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ে।
কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে শয়নকক্ষের পিছন পাশ দিয়ে সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে কুপ্রস্তাব দেয় আসামি। আসামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে ওড়না দিয়ে হাত মুখ বেঁধে খাটের উপর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরনের বস্ত্র খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে।
এ সময় ধস্তাধস্তি ও ভিকটিমের ডাকচিৎকারে ধর্ষক ইসলাম মোড়ল দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতাকে বিবস্ত্র ও গুরতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনস্টোপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় ১ অক্টোবর ভুক্তভোগীর পিতা মিজানুর রহমান মোড়ল বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নারি ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ লম্পট ধর্ষক ইসলাম মোড়ল একজন নারি লোভী ব্যক্তি। এর আগে সে বিভিন্ন সময় স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা ও অসহায় নারীদের সাথে অনৈতিক কাজ করতে উদ্দ্যাত্ত হয়। এছাড়া মঠবাড়িয়া এলাকা থেকে ছাগল চুরি কালে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় লোকজন। গণধোলাই ও জরিমানা দিয়ে রক্ষা পায় সে সময়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী ইসলামের কুদৃষ্টির আতঙ্কে ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামি ইসলাম মোড়ল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available