কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: শনিবার রাতভর গানে গানে শেষ হলো অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৪তম তিরোধান দিবস। সাঁইজির প্রতি যথাযত সম্মান ও ভাব প্রদান করে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেলেন বাউল, সাধক ও ভক্তরা।
এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউরিয়ায় আখড়াবাড়িতে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জেলা প্রশাসক শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে ১৯ অক্টোবর শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ।
লাখো মানুষের স্রোত এবার মিশেছিল আখড়াবাড়িতে। এমন স্রোত গেল দুই দশকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন বাউল, ভক্ত ও আয়োজকরা।
সাধুভক্তরা বলছেন, এবার আগে থেকেই অনেকেই আখড়াবাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ বাদ্যযন্ত্র ও গানে গানে মুখর হতে থাকে। কথা হয় বগুড়া থেকে আসা লুৎফর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'কার্তিকের পয়লা দিন ভুলে থাকা যায় না। যেখানেই থাকি, মন আপন মনেই ছুটে আসে। কোনো বাধাই মানে না। সাঁইজির চরণে আশ্রয় নিতে আমাদের আসা।'
১৮৯০ সালের ১ কার্তিক কালজয়ী ভাবুক ও শিল্পী লালন সাঁই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে আখড়াবাড়ি চত্বরে তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা তাঁদের সাঁইজিকে স্মরণ করে আসছেন। পরে লালন একাডেমি এ আয়োজনের দায়িত্ব নেয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available