বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোংলায় যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে দুই কন্যা সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন স্বামী। এরপর থেকে ওই নারী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুই বছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নেন না, দেন না কোনো খোরাকিও। স্ত্রী তার স্বামীর অহীন কর্মকাণ্ডের বিচার ও প্রতিকার চেয়ে এখন পথে পথে ঘুরছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগীর কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোংলার শহরতলীর পশ্চিম কাইনমারী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে মোক্তার হোসেন একই এলাকার মালেকের মেয়ে রোকেয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৮ বছর আগে বিয়ে করেন। মোক্তার তার প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন রেখেই রোকেয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর ভাড়া বাড়িতে তাদের সংসারও চলছিলো বেশ। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যাদের একজনের বয়স এখন ৬, আর অপরজনের ৪ বছর।
বিগত তিন বছর আগে শেহলাবুনিয়া এলাকার গোলদারের মেয়ে লাবনীকে তৃতীয় বিয়ে করেন মোক্তার। তৃতীয় বিয়ের এক বছর পর দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়াকে ছেড়ে দেয়ার তালবাহানা শুরু করেন মোক্তার। কৌশল করে মোক্তার বিদেশি জাহাজে নাবিকের চাকুরি নিবেন বলে রোকেয়ার পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। দাবি মেটাতে রোকেয়ার পরিবার জমি বিক্রি করে এক দফায় ৮০ হাজার টাকা দেন মোক্তারকে।
এরপর আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দ্বিতীয় বার যৌতুকের চাহিদা মিটাতে না পারলে নির্যাতন করে ভাড়া বাড়ি থেকে নামিয়ে দেন স্ত্রী ও কন্যাদের। সেই থেকে তারা পথে পথে ঘুরছেন। মোক্তার প্রভাবশালী হওয়াতে যেখানে যে অভিযোগ হোক না কেনো তা ম্যানেজ করে ফেলেন। এখন রোকেয়া দুই সন্তানের খোরাকী ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন। এর প্রতিকারের আশায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তার কোনো সুরাহ পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত মোক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available