ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরবে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে কারখানা মালিক সিন্ধু পোদ্দারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রোদুয়ান আহমেদ রাফি। এ সময় তার সাথে ছিলেন পৌরসভার স্যানেটারি ইনেস্পেক্টর নাসিমা বেগম ও পুলিশ।
শহরের রানীর বাজার শাহি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় বিষাক্ত ও পচা চিনির সাথে ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ভেজাল গুড়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠে এ ভেজাল গুড়ের কারখানাটি। কারখানাটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তার ছেলে শিমুল পোদ্দার।
কারখানা ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আনা নষ্ট চিনি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গুড়। সাথেই রয়েছে ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং। এ সময় কারখানায় উৎপাদিত ভেজাল গুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হয় এবং একইসাথে কারখানাটি আপাতত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহিমা বেগম জানান, কারখানার পাশেই আমি পরিবার নিয়ে তিনতলা বিল্ডিংয়ে থাকি। কারখানা কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছি আমরা। পচা বাসি গন্ধে বমি পর্যন্ত হয়। আবাসিক এলাকায় কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল গুড় উৎপাদন হচ্ছে তার অভিযোগ।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ভেজাল সব খাবারই মনব দেহের জন্য ক্ষতিকর। চিনি, ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং ব্যবহার করে তৈরি গুড় খেলে মানবদেহের অনেক ক্ষতি হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. রেদুয়ান আহমেদ রাফি জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আমি কারখানাটিতে অভিযান চালাই। খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিনি দিয়ে গুড় উৎপাদন করার অভিযোগে কারখানা মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। একইসাথে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি। গুড়ের নমুনা ঢাকায় ল্যাবে পাঠিয়েছি। ভেজাল প্রমাণ হলে তার কঠোর শাস্তিসহ কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available