জাকির হোসেন, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: চলতি খরা মৌসুমে পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমের কারণে ২৪০ পুকুরে আগাম পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। ফলে মাছ চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১০ টি ইউনিয়নে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৫৪৩ মে. ট. মৎস্য উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হলেও উদ্বৃত্ত মাছ ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে মৎস্য চাষীরা।
এ উপজেলায় মৎস্য চাষ করে প্রায় শতাধিক মৎস্য চাষী স্বাবলম্বী ও কোটিপতি হয়েছেন। শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা যায় পৌর এলাকায় পাবলিক ক্লাব মাঠের উত্তরে সরকারি পুকুর, উপজেলা পরিষদ পুকুর, জগথা কবরস্থান সংলগ্ন পুকুর, মুক্তিযোদ্ধা পাড়ার ২টি পুকুর, থানার দক্ষিন পাশে ভুইশা দিঘী, মিত্রবাটি মৌজায় বিষ্ঠমোহনের পুকুরসহ উপজেলায় ২৪০ টি পুকুরে পানিশূণ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এসব পুকুরে পানি না থাকায় মৎস্য চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া সরকারি অধিকাংশ পুকুরগুলো খনন না করায় পুকুরের গভীরতা কমে যাওয়ায় বছরের প্রায় ৬/৭ মাস ওই সব পুকুরে পানি থাকে না। অপরদিকে খাল, বিল, হাওর ও জলাশয়ে পানিশূণ্য হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছ প্রায় বিলুপ্ত হচ্ছে।
সরকারি ভাবে পুকুর গুলো খনন করা হলে, মৎস্য উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য উপজেলা ও জেলায় সরবরাহ করতে পারবে বলে মৎস্যচাষী আনোয়ার হোসেন বিষয়টি অবগত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা খালিদ মোশারফ জানান, গভীর নলকূপ দিয়ে পানি উত্তোলন করে কৃষি কাজে ব্যবহার করায় পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে গেছে। ফলে, পুকুর, খাল-বিল ও জলাশয় গুলোতে পানিশূণ্য হয়ে পড়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available