জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় মসজিদ ও মাদরাসার কমিটির লোকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে সুজাত মিয়া (৮০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সালিশি ব্যক্তিসহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন।
নিহত সুজাত মিয়ার মরদেহ ১৩ নভেম্বর বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না (তাজপুর) গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের মারফতে জানাগেছে, বাগময়না (তাজপুর) গ্রামের সুজাত মিয়া ও আব্দুল কাছেরের মাঝেহ হযরত শাহজালাল জামে মসজিদ, স্থানীয় মাদরাসা ও মরহুম হাজী মো. খুশি মিয়া হিফজ শাখার পরিচালনা কমিটির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর মাঝে এলাকাবাসীর সমন্বয়ে মসজিদের দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এনিয়ে সুজাত মিয়া ও আব্দুল কাছেরের লোকজনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অশালীন ভাষায় স্ট্যাটাসের প্রতিযোগিতা চলছে একে অন্যের মধ্যে।
এ-নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘাতে জাবেদ আলী, রেকুল মিয়া, সুনু মিয়া, মহিম মিয়া, সেজুল মিয়া, লিটন মিয়া, হেলাল মিয়া, আবদুল আমিন, কাজল মিয়া, মারুফ মিয়া, জয়নাল আবেদীন, জুনেদ আলী, হোসেন মিয়া, সেকুল মিয়া, সুজাত উল্লা, সেফুল মিয়া, মমিন মিয়া, তছর মিয়া, টুনু মিয়া, মামুন মিয়া, শামিম মিয়া, ইমন মিয়া, আব্দুল মহিম, শাহেদ মিয়া, রিনা বেগম, আনোয়ার মিয়াসহ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতাবস্থায় আমান উল্লাহর ছেলে সুজাত উল্লাকে (৮০) জগন্নাথপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সালিশি ব্যক্তি হাফিজ উদ্দিন, ফারুক মিয়া, হাফিজ শামিম মিয়া, জামান উল্লাহ মুক্তার, আব্দুল নুর মিয়া, খালেদ মিয়াসহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available