পটুয়াখালী প্রতিনিধি: অনেক সীমাবদ্ধতা ও নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালীর সরকারি হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের কার্যক্রম। জনবল সংকট, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং মালামালের প্রতুলতা, পর্যাপ্ত বাজার সৃষ্টিতে পরিস্থিতিগত ও প্রকৃতির বৈরিতাসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তথা সরকারি, বেসরকারি খামারি এবং সাধারণ উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে সময়ের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র মতে, ১৯৮৫ সালে ৪ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার থেকে পরিবর্তিত হয়ে ২০১৮ সালে সরকারি হাঁস প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের যাত্রা শুরু হয়। ম্যানেজারসহ এখানে ১৪টি পদ থাকলেও মাত্র ৪ জনের হাড়ভাঙা শ্রমের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে টিকে আছে মানুষের আয়ের উৎস সৃষ্টি এবং আমিষের যোগানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে শুরু করে, ডিম থেকে বাচ্চা ফোঁটানোর রুটিন ওয়ার্ক, হাঁসের বাচ্চা, কিশোর-কিশোরী এবং ডিম দেয়ার উপযোগী হাঁসের খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া, হাঁসের বেড পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা কৃষিবিদ সুশান্ত কর। এসব কাজে তাকে সহায়তা করছেন তার ৩ জন সহযোদ্ধা। রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে হাঁসের প্রজনন ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
এ খামারের দেখভাল করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটির সভাপতি জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক এবং সদস্য হচ্ছেন ভেটেরিনারি সার্জন ও জেলা পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার। কিন্তু উল্লিখিত পদগুলো শূন্য থাকায় কমিটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ম্যানেজার কৃষিবিদ সুশান্ত কর জানান, সরকারি লক্ষ্যমাত্রা বছরে ৫০ হাজার হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এখানের উৎপাদন ৬৯ হাজারে পৌঁছেছে। এছাড়া গড়ে প্রতিদিন সাড়ে ৪শ ডিম উৎপাদন হচ্ছে এ খামারে। তিনি বলেন, জনবল সংকট প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং মালামালের অপ্রতুলতা থাকলেও কষ্ট মনে হচ্ছে না টার্গেট পূরণ করতে পেরে।
কৃষিবিদ সুশান্ত কর আরও জানান, বছরের মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত চাহিদা কম থাকে। ওই সময়টাতে খামারি এবং সাধারণ ক্রেতাদের সাথে বেশি বেশি যোগাযোগ করে সরবরাহ বাড়াতে হয়। খামারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাম্প মেশিনটি বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এটি মেরামতের জন্য পটুয়াখালীতে দক্ষ লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকল পাম্প মেশিনটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করার কথা জানান ম্যানেজার কৃষিবিদ সুশান্ত কর।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available