তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি: দ্বীপজেলা ভোলায় দিন দিন বেড়েই চলছে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা। সরকারি হিসেবে ৬ মাসে এ জেলায় ৪০ শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে এ মৃত্যুর সঠিক সংখ্য আরও বেশি হতে পারে বলে বলছে বিশেষজ্ঞরা।
উদ্বিগ্ন হারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঘটনা দেখে জেলার মনপুরায় চাইল্ড সেফটি ডিভাইস আবিষ্কার করলো তাহাসিন নামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। তাহাসিনের এ আবিষ্কার দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তাহাসিন জানান, তার আবিষ্কৃত চাইল্ড সেফটি ডিভাইসটি ১৫ গ্রাম ওজনের। এই ডিভাইসটি যে শিশু ব্যবহার করবে সেই শিশু পানিতে ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে শিশুর অভিভাবকের মোবাইলে কল চলে যাবে এবং তার বাসায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম বেজে উঠবে।
তিনি আরও জানান, এমনকি সেই শিশু ওই মুহূর্তে কোথায় আছে তাও জানা যাবে ডিভাইসটির মাধ্যমে। পুকুরের পানিতে পরে গেলেও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে ডিভাইস ব্যবহারকারী শিশু। ফলে কমে আসতে পারে পানিতে পড়ে ডুবে যাওয়া শিশু মৃত্যুর হার।
স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থী তাহাসিনের আবিষ্কার ও উদ্ভাবনীতে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা পেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে মনে করেন তারা। নদী মাতৃক দেশে শিশুদের জীবন ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই এ আবিষ্কার অত্যন্ত জরুরি ও যোগপত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান বলেন, তার এ আবিষ্কারের মাধ্যমে যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবে প্রশাসন। আমরা তার এমন কর্মে অত্যন্ত আনন্দিত। শুধু আশার বাণীতে নয়। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসলে দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে এমনই প্রত্যাশা সবার।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় বছর আগে একটি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এটি তার দৃষ্টিগোচর হলে সে চিন্তা থেকেই এ ডিভাইস তেরি করার কথা জানান শিক্ষার্থী তাহসিন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available