স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট: সিলেটের কানাইঘাটে আলোচিত শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সাবেক গৃহ শিক্ষিকা মার্জিয়ার নানী কুতুবজান বিবি মারা গেছেন। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের নিজ ছাউরা গ্রামে বাবার বাড়িতে মারা যান।
শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুতুবজানকেও আটক করে পুলিশ। পরে তার বয়স বিবেচনায় তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম আহমদের জিম্মায় দেওয়া হয়। জিম্মায় থাকা অবস্থায় আজ সকালে মারা যান কুতুবজান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কুতুবজানকে প্রথমে পুলিশ তার জিম্মায় দেয়। তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। সেজন্য তাকে দেখাশুনার জন্য তার বাবার বাড়িতে ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি যে ঘরে তার মেয়ে ও নাতনী মার্জিয়ার সঙ্গে থাকতেন সেই ঘরটি ঘটনার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ভেঙে ফেলে।
এদিকে মুনতাহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামির রিমান্ড চলছে। থানা হাজতে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামসুল আরেফিন জিহাদ ভূঁইয়া। তিনি জানান, ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে কিছু তথ্য দিয়েছেন তারা। তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।
আসামিরা হলেন, মুনতাহার প্রতিবেশী সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফ জান বিবি ও তার মা মেয়ে সাবেক গৃহশিক্ষিকা শামিমা বেগম মার্জিয়া, প্রতিবেশী মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম ও সৈয়দুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন। তবে মারা যাওয়া মার্জিয়ার নানি কুতুবজানকে মামলায় আসামি করা হয়নি বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
কানাইঘাটের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহার মরদেহ গত রোববার ভোররাতে তার ঘরের পাশের পানির নালা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে গত ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয়। মার্জিয়া কয়েকজনের সহাযোগিতায় মুনতাহাকে শ্বাসরোধ ও গলায় দড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গত সোমবার গ্রেফতার চার জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available