কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার তিতাসে ফোন করে ডেকে ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) হত্যা করে মরদেহ ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় ঘাতক মুন্না। সেই ঘাতক মুন্নার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
১৬ নভেম্বর শনিবার বিাকেলে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের সাগরফেনা গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঘাতক মুন্নাসহ অন্য সহযোগীদের ফাঁসির দাবি করে নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এ লোমহর্ষক হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্না ও তার মামা নাইমসহ ৭ জনকে আসামী করে তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
এর আগে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের অভিযানে প্রেমিক তারেক মাহবুব মুন্না গ্রেফতার হওয়ার পর জান্নাতকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। ঘাতকের ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তিতাসের জগতপুর ইউনিয়নের সাগরফেনা গ্রামের জামাল সরকারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে তারেক মাহবুব মুন্নার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
বিষয়টি জানাজানি হলে ২০১৮ সালের দিকে জান্নাতের প্রথম সংসার ভেঙ্গে যায় এবং গত ২০২৩ সালে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে মুন্নার সাথে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু মুন্না জান্নাতকে বিয়ে না করে গোপনে বিদেশ চলে যায় এবং চলতি বছরের আগস্টের দিকে মুন্না দেশে আসে এবং অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে। বিষয়টি জান্নাতকে কষ্ট দিলে দু’জনের মধ্যে অন্তর্কলহ সৃষ্টি হয় এবং জান্নাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে মুন্না। সেই অনুযায়ী ৫ সেপ্টেম্বর জান্নাতকে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকার কাঁঠালিয়া নদীতে নিয়ে প্রথমে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে। এরপর হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে মোট ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available