মাসুম লুমেন, স্টাফ রিপোর্টার (গাইবান্ধা): বরাবরের মতো এবারও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে গাইবান্ধায় সুবিধা বঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ‘এক টাকার বাজার’ কর্মসূচি আয়োজন করেছে ‘আমাদের গাইবান্ধা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শখ থাকলেও সাধ্যে কুলায় না নিম্ন আয়ের এসব মানুষের। তার উপর দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধিতে আরও নাজেহাল অবস্থা নিম্নবিত্ত এই পরিবারগুলোর। ঠিক এমন সময় পরিবারের ঈদ আনন্দ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য পরিবার প্রতি এক টাকার বিনিময়ে ঈদের সকল রন্ধনসামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি। এ সময় ১৫০ পরিবারকে দেওয়া হয়, চাল, ডাল, চিনি, সেমাই, দুধ, আলু, পটল, পেঁয়াজ, মরিচ, করলা, বরবটি, পুঁইশাক, মসলা, দুধ ও মুরগি।
১৭ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টায় গাইবান্ধার স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে ‘এক টাকার বাজার’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক। এসময় আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়হাম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুসাব্বির রহমান রিদিম, দেওয়ান নাফিসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ সামগ্রী কেনার সামর্থ্য হয় না নিম্ন আয়ের এসব মানুষের। এক টাকায় অনেক কিছু পেয়ে তাই ভীষণ খুশি তারা।
এক টাকার বাজার করতে আসা কয়েকজন এ প্রতিবেদককে জানান, ‘বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, ভাল কিছু কেনা যায় না। প্রতিদিন যেটা কামাই করি, সেটা এনজিওর কিস্তি আর ডাল-ভাত খাতেই শ্যাষ। আর এই কষ্টের সময়ে ১ টাকায় এতগুল্যে বাজার পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার।’
গত বছরের মতো এবারও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন 'আমাদের গাইবান্ধা’র সভাপতি সায়হাম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুসাব্বির রহমান রিদিম'। সমাজে পিছিয়ে পরা অসহায় মানুষের মুখে একটু হাঁসি ফোঁটানোই আমাদের লক্ষ্য। ঈদ উপলক্ষে আমাদের এই বিশেষ আয়োজন। এর আগের ঈদুল ফিতরেও আমরা এমন আয়োজন করেছিলাম। সেবার বেশ সাড়া পেয়েছিলাম। বাজারে আসা সুবিধাবঞ্চিতদের খুঁজে খুঁজে তাদের টোকেন দেওয়া হয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানান, গ্লোবাল ভিলেজ থিউরি অনুযায়ী ছোট্ট একটি গ্রাম পরিণত করার প্রত্যয়ে ২০১৪ সালে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। ২০ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করা, লাশ দাফন কাজ করা, অক্সিজেন সরবরাহ, কয়েক দফা ত্রাণ বিতরণ, অসহায়দের রক্ত যোগান, ধর্ষণ প্রতিরোধসহ সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতনতা সৃষ্টি, তরুণ সমাজের মেধা বিকাশে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এই সংগঠন।
এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available