স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে ১৯৫৭ সাল থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হলেও এখনো গ্যাস পায়নি হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের গর্ভধারিণী বৃহত্তর জৈন্তিয়াবাসী। দীর্ঘ ৬৭ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর ও রাজধানী ঢাকায় হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। কিন্তু হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের গর্ভধারিণী বৃহত্তর জৈন্তিয়ার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জবাসী এখনো গ্যাস সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে এই উপজেলাবাসীদের চাকুরিতেও অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে না।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৯৫৫ সালে হরিপুরে গ্যাসের খোঁজ পাওয়া যায় এবং ১৯৫৭ সালে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। তখন হরিপুর গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন ছিল। পরবর্তীতে জৈন্তাপুর উপজেলা গঠনের সময় হরিপুর এলাকাটি জৈন্তাপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। সংশ্লিষ্ট ৪টি উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ ও স্থানীয়দের চাকুরির দাবিতে স্থানীয়দের ধারাবাহিক মানববন্ধন, মিছিল মিটিং, গোল টেবিল বৈঠক, এমনকি ধর্মঘটের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করার পরও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
১৭ নভেম্বর রোববার বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)'র চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জৈন্তিয়া এলাকার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জবাসীর ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ ও হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে বিভিন্ন পদে চাকরির সুবিধা পেতে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারক লিপি প্রদান করেন স্থানীয়রা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহাবউদ্দিন শিহাব, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available