ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: গত ২২ আগস্ট কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের গোপদীঘির দৌলতপুর হাওরের মাঘাপোড়া বিল এলাকায় রাতের আঁধারে ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের এক মুরগি ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। অন্যদিকে নিহতের পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আসামীদের গ্রেফতার আর বিচারের দাবিতে। নিহত সাগর মিয়া(২৪) এলংজুরী ইউনিয়নের কবিলাপাড়ার মুরগির ব্যবসায়ী শুখন মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২২ আগস্ট মিঠামইনের গোপদীঘি বাজারে সারাদিন মুরগী বিক্রি করে টাকা কালেকশন করতে কিছুটা রাত হয়ে যায়। রাতে নিজস্ব নৌকা যোগে মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘি বাজার থেকে নিজ বাড়ী ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের কাবিলা পাড়া গ্রামে রওনা দেয় বাবা চাচার সাথে নিহত সাগর।
পথে শরীফপুর গ্রামের অদূরে দৌলতপুর হাওর মোঘাপোড়া বিল এলাকায় আসা মাত্রই জলমহালের পাহাদার পরিচয় দিয়ে নৌকা থামিয়ে এলোপাতাড়ি ৫ জনকেই পিটতে থাকেন দুর্বৃত্তরা। মুরগি বিক্রির টাকা নিয়ে টানাহেচরার সময় আঘাত পেয়ে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে ডুবে যায় সাগর।
এই ঘটনায় ২৬ আগস্ট নিহত সাগরের বাবা শুখন মিয়া মিঠামইন থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত সাগরের বাবার দাবি, মামলার পর নিজ উদ্যোগে একজন আসামীকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছেন। অথচ বাকি আসামীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব ও অসহায় মানুষ। এইজন্য কি সঠিক বিচার পাবো না। আমি বারবার থানা যাচ্ছি, সিআইডি অফিসে যাচ্ছি, কত স্থানে দৌড়াদৌড়ি করতেছি। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
নিহত সাগরের হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (রুবেল)।
মিঠামইন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিউল আলম বলেন, আসামীদের ধরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available