আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে ২৭ জন আহত হয়েছেন। আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, একে স্কুল এবং বটতলা এলাকায় ২৭ জন পথচারী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগী ও তার স্বজনরা বিপাকে পরেছে। রোগীর স্বজনদের ফার্মেসি থেকে উচ্চ মূল্যে ভ্যাকসিন কিনে প্রয়োগ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২২ নভেম্বর শুক্রবার।
জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, একে স্কুল ও বটতলা একালায় শুক্রবার সকালে পথচারীদের কুকুরে কামড় দেয়। বেলা গড়াতে থাকলে কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। ওই দিন সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ২৭ জন পথচারীকে কুকুর কামড়ে আহত করেছে। আহত মারিয়া, আবু রায়হান, সাফিন, সঙ্কর চন্দ মাতুর্ব্বর, জাহিদ, রাফি, মাসুদ, আব্দুল মালেক, আরাফাত, আব্দুল্লাহ, আজম, তমাল, জোহামনি, সীমাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরগুনা ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুকুরে কামড়ে আহতের মধ্যে অধিকাংশ শিশু।
এদিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগী তার স্বজনরা বিপাকে পড়েছে। স্বজনদের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে রোগীকে প্রয়োগ করতে হচ্ছে। অনেক রোগী হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ফার্মেসি থেকে উচ্চ মূল্যে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে।
কুকুরের কামড়ে আহত সংঙ্কর চন্দ্র মাতুব্বর বলেন, পৌর শহরের বটতলায় কুকুর আমাকে কামড় দিয়ে আহত করেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ফার্মেসি থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনে প্রয়োগ করেছি।
আহত সীমা বলেন, একে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। পথিমধ্যে কুকুরে এসে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরে দের হাজার টাকায় ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন এনে প্রয়োগ করেছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ২৭ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে। এর মধ্যে অনেক রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী ও বরগুনা পাঠানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেনমং বলেন, হাসপাতালে র্যাবিস ভ্যাকসিন আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। পাগলা কুকুরের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available