দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে সবজি পরিচর্যায় কঠোর পরিশ্রম করছেন তারা। গতমাসে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে লাউ, লালশাক, ঢ্যাঁড়স, কাঁচামরিচ, মুলা, বাঁধাকপি, শিম, ফুলকপিসহ হরেক রকমের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। যার ফলে আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই সময়মতো শীতের সবজি বাজারে উঠাতে না পারায় লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, দৌলতখান উপজেলায় ৪৫৫ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। সবজির উৎপাদন বাড়াতে কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা নতুন করে সবজি চাষে মনোনিবেশ করেছে। জমি তৈরি, চারা রোপণ, সবজি ক্ষেতে পোকার আক্রমণ রোধে কীটনাশক ছিটানোসহ ফসল পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
চরশুভী গ্রামের সবজি চাষি হাসনাইন বলেন, এ বছর শীতকালীন আগাম সবজির চাষ করেছিলাম। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির কারণে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে জমি তৈরি করে শিম, মুলা, লালশাক, ফুলকপি, পাতাকপি চাষ করেছি। ফলন ভালো হলে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবো। সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী গ্রামের কৃষক সফিউল্লাহ বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে এসব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নতুন করে সবজি চাষ করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়রা সিদ্দিকা বলেন, অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ১২৫টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদেরকে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়াও স্মল হোল্ডার অ্যাগ্রিকালচার কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টর মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে শুধু সবজি এবং ৫০ একর জমিতে সবজি ও ফল বাগান স্থাপন করা হবে। আশা করছি, সহায়তাগুলো পেলে সবজির আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আমনের ক্ষতি কৃষক পুষিয়ে উঠতে পারবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available