পাবনা প্রতিনিধি: শেখ মুজিব ৭৫ সালে মরে নাই, তার মৃত্যু এবারই ২৪ সালে ছাত্র -জনতার আন্দোলনে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা তার বাপ মুজিবকে মেরেছে, দেশের জনগণকে মেরে অবশেষে ১৬ বছর নির্মম শাসন লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তার শাসনামলে গোটা দেশকে কারাগার বানিয়ে গুম, খুন ও আয়নাঘরের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে নির্যাতন চালিয়েছিল।
২৪ নভেম্বর রোববার বিকেলে পাবনা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চে আয়োজিত জনসভায় টিপু বিশ্বাস একথা বলেন।
জাতীয় গণফ্রন্ট পাবনা জেলার সমন্বয়ক হাসিবুর রহমান হাসুর সভাপতিত্বে ও আব্দুস শুকুরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক খেতমুজুর সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন, গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কৃদ্দুস, ওহিদুজ্জামান ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা অন্তর হোসেন।
টিপু বিশ্বাস বলেন, তারা বিগত ১৬ বছর ধরেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হলো। ৫২, ৬৯ , ২৪ সালের আন্দোলনে অনেকেই জীবন দিয়েছেন। জনগণের অধিকার আদায় কখনই ত্যাগ ছাড়া হয় না। ৭১’এ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন দিয়ে বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে। কিন্তু জনগণের সত্যিকারের অধিকার বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা এ সরকারকে সমর্থন করেন কিন্তু এটা জনগণের সরকার নয়। স্বল্প সময়ের সরকার। ৭২ সালে স্বাধীন দেশের একটি সংবিধান রচনার জন্য সংবিধান সভার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা তা না করে ইচ্ছামতো সংবিধান রচনা করেছেন। তাই তারা সেটা না মেনে নতুন সংবিধানের দাবি করেন। তিনি এই সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সিন্ডিকেট ভাঙারও আহ্বান জানান। দেশে বারবার সরকার পরিবর্তন হলেও দেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে লুটপাটের। বিনা ভোটের ফ্যাসিবাদ সরকার প্রশাসনযন্ত্র পুলিশ, র্যাব, মিলিটারি দিয়ে শুধু মানুষকে শোষণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ৭১ সালে তারা যখন পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ হয়েছিল তখন শেখ মুজিব ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানি আর্মিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি কারাগারে শান্তিতে ছিলেন। এটা জাতির সাথে চরম বেঈমানি করেছেন তিনি। স্বাধীনতার যুদ্ধে এত মানুষ জীবন দিলেও আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কোনো নেতা জীবন দেননি। জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই আবার জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। সেখানে কোনো বেকার থাকবে না। বেকার থাকলেও তাদের ভাতা দেওয়া হবে। কৃষক শ্রমিক জনতা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবেন। অভ্যুত্থানের পর কোনো সংবিধান থাকেনা। তাই বর্তমান সংবিধানে কীভাবে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু থাকেন এ নিয়েও তিনি প্রশ্ন করেন। তিনি অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি জানান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available