মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: চাঁদা না পেয়ে দুর্বৃত্তরা সাধু সংঘের আসরে হামলা চালিয়েছে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আয়োজককে জিম্মি করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ২৫ নভেম্বর সোমবার দুপুরে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পাড়দিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের একাধিক দলসহ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাউল সম্রাট সুফি সাধক ফকির লালন শাহ্’র স্মরণে একযুগ ধরে মনিরামপুরে সাধু সংঘের আসর বসে আসছে। দু’দিনব্যাপী উপজেলার পাড়দিয়া গ্রামের ডিসপেনসারি মোড়ে ফকির মন্টু শাহের বাড়িতে এ আয়োজন করা হয়। প্রথা মতো বিভিন্ন এলাকার বাউল, সাধু, লালনভক্ত ও অনুসারীরা সকাল থেকে সেই আয়োজনে আসতে শুরু করেন। রীতি অনুসারে সান্ধ্য কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এশার আজানের পরপরই শুরু হয় বাকি কার্যক্রম। কিন্তু কর্মসূচি শুরুর আগেই দুপুরে একদল দুর্বৃত্তরা আসরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ সময় আয়োজক ফকির মন্টু শাহ্সহ অনুসারীদেরকে মারপিট করা হয়।
সাধু সংঘ আসরের আয়োজক মন্টু শাহ্ অভিযোগ করে বলেন, দুর্বৃত্তরা রোববার রাতে আয়োজনস্থলে এসে গান-বাজনা করতে নিষেধ করে যান। এরপর সোমবার সকালে চাঁদা দাবি করেন। পরে পরিকল্পিতভাবে আয়োজনস্থলে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তারা। এসময় আসরে উপস্থিত সাধু সংঘের সদস্যদের উপরও তারা চড়াও হন। সাধু সমাবেশের মাধ্যমে মানুষের আত্মশুদ্ধিই হলো এই আসরে মূল উদ্দেশ্যে।
যশোর জেলা বাউল সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বাউল ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, যে গোষ্ঠী এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ফকিরানী রিজিয়া পারভীন বলেন, তারা গেলো ১২ বছর ধরে এই আসরে আসেন। কিন্তু এবার যা ঘটলো তা সত্যিই দুঃখজনক ও বাউল সম্প্রদায়ের উপর চপেটাঘাতের শামিল।
এদিকে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। মনিরামপুর থানার ওসি (দায়িত্বরত) পলাশ কুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available