• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ১১:৩১:০০ (30-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ১১:৩১:০০ (30-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নেছারাবাদে পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ

৩০ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৮:৪৪:৫২

নেছারাবাদে পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি: এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৮০ লাখ টাকার খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পিরোজপুর নেছারাবাদের জলাবাড়ি ইউনিয়নে প্রায় সাত কিলোমিটার খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এসব খালের বেশির ভাগ স্থানে পাড় ড্রেসিং (ছেঁটে ফেলানো) করা হলেও উপরের কোনো মাটি তোলা হয়নি। আবার কিছু জায়গায় সামান্য মাটি খনন করেই কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগসাজশে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা চলছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে জলাবাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি নামের প্রতিষ্ঠানটি কাগজ-পত্রে এ খনন কাজ সম্পন্ন দেখায়।

সম্প্রতি সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, এলজিইডির টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে জলাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি খালের ৬ দশমিক ৯৫০ কি.মি. খনন করার ক্ষেত্রে সব কটি খালেই ফাঁকিবাজির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এভাবে খাল খনন মানুষের কোনো কাজে আসছে না। দায়সারাভাবে খনন করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে।

পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের কৃষক রিপন হালদার বলেন, মাদ্রা বাড়ানি খালের বেশির ভাগ জায়গার পাড় ছাঁটাই (ড্রেসিং) করেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

ওই কৃষকের অভিযোগ, সেচ সুবিধার জন্য খালের উজানের দিকে ভরাট হয়ে যাওয়া অংশে বেশি মাটি কাটার প্রয়োজন হলেও সেই অংশে পাড় ছাঁটাই করেই খনন করা দেখানো হয়েছে। পূর্ব জলাবাড়ি হাইস্কুলের পেছনের ৩০০ মিটারের বেশি খালে পাড় ছাঁটাই করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের দীর্ঘ মেয়াদের কোনো সুফল আসবে না। শুধু শুধু আর্থ অপচয় হয়েছে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে খাল খননের কাজে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রি-ওয়ার্ক মাপে ফাঁকফোকর রেখে ডিজাইন ও প্রাক্কলন তৈরি করেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। বিভিন্ন সমিতির যোগসাজশে টাকা ভাগাভাগির বিনিময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে এসব প্রাক্কলন তৈরির সময় ডিজাইনে খালের উৎসমুখের গভীর খরস্রোতা (ছোট নৌযান চলাচলের মতো গভীর) অংশকে প্রকল্পভুক্ত করেন। সেই সুযোগে খালের সামান্য মাটি না তুলেই পাড় ড্রেসিং করে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

জানতে চাইলে জলাবাড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সম্পাদক বিপ্লব হালদার অভিযোগ করেন, তাঁকে এড়িয়ে সভাপতি সুব্রত হালদার নানা ছলচাতুরী করে এককভাবে প্রকল্পের কাজ করেছেন।

সমিতির সভাপতি সুব্রত কুমার হালদার বলেন, ডিজাইনমতো সম্পূর্ণ কাজ করা হয়ে গেছে। সঠিকভাবে কাজ করলেও প্রকল্প প্রণয়ন  বরাদ্দের কাজে ৩০-৩৫ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বিল তুলতে হয়।

খননকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পিরোজপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন   ডিজাইনে সঠিকভাবে খাল খনন করা হয়েছে। ডিজাইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অনেক জায়গায় খালের পাড়ে মাটির অস্তিত্ব না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশপাশের লোকজন হয়তো নিয়ে গেছেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা
৩০ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ১১:১২:১৪