স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট: দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা সিলেটে আলোচিত ছয় বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যার ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খুলেনি হত্যার রহস্যের জট। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চার আসামীকে গ্রেফতারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলার প্রধান আসামী শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আদালতে জবানবন্দি দেননি। বর্তমানে গ্রেফতার আসামীরা সবাই কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ জানান, সিআইডির কাছে কিছু আলামত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমরা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে তাদের ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
চলতি বছরের ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামে মুনতাহার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ ৯ নভেম্বর কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা করেন। ১১ নভেম্বর মুনতাহা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের আলিফজান (৫৫), তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন জিহাদ বলেন, ‘আমরা তদন্ত কাজ করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আসামীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়নি। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পুলিশ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।’
এদিকে মৃতদেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ ধারণা করে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশী ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available