নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের জিয়া খালের দখলকে কেন্দ্র করে বাঁশিলা ও হালতির দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় পাহারা দেওয়ার ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
৮ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার হালতি বিলের হালতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ও বিএনপির ওয়ার্ড নেতা এন্তাজ আলী (৪৫), বিএনপির ওয়ার্ড নেতা ও শামসুলের ছেলে রাজ্জাক আলী (৩৮), একই গ্রামের আজিজের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৬), প্রতিপক্ষ হালতি গ্রামের ফলেনের ছেলে সেলিম (২৬), রশিদের ছেলে রাশেদ (৩০), উজ্জ্বল (২৫) ও তার বোন রুপালি (২৮)।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা ও হালতি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের জিয়া খাল উন্মুক্ত জলাশয় হিসাবে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসী ভোগ করে আসছিলো। পট পরিবর্তনের পরে বাঁশিলা গ্রামবাসী হালতি বিলের বাঁশিলা মোর্জার অংশ বাঁশিলা গ্রামবাসী ও মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারের জন্য দখলে নেয়। হালতি গ্রামের অংশ হালতি গ্রামবাসী দখলে নেয়। হালতি বিলের জিয়া খালে মাছ শিকারের জন্য দখলকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল ১০টার দিকে হালতির বিএনপির কর্মী ফলেন গ্রুপ ও বাঁশিলা গ্রামের মৎস্যজীবীর পক্ষে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া গ্রুপের দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাঁশিলা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালটি পুরোপুরি দখল নিতে যায়। এতে বাধা দেয় হালতি গ্রামের লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় খালের ধারে থাকা পাহারা কক্ষ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়।
নলডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মনোয়ার জাহান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available