ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা। ১১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলার চুকনগর গাজীর বিল নামক এলাকায় মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে এক মৎস্য চাষিকে সর্বস্বান্ত করেছে দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চুকনগর গ্রামের হাসেম আলী গাজীর ছেলে মৎস্য চাষি মাসুম গাজীর সাড়ে তিন বিঘার একটি চিংড়ি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী মাসুম গাজী বলেন, দক্ষিণ চুকনগরের গাজীর বিলে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির সাড়ে তিন বিঘার একটি মৎস্য ঘেরে দুই বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে মাছ চাষ করে আসছি। গত বছর ওই চিংড়ি ঘের থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে আমার প্রায় ৬ লাখ টাকা লাভ হয়। এটা দেখে আমার আপন চাচা ইসহাক গাজী ও আমার চাচাতো ভাই কুদ্দুস গাজী হিংসা করে আমার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। কুদ্দুস গাজীর পরিবারের সাথে আমাদের পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে বুধবার দুপুরের পর যেকোনো সময় আমার মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। আমার ঘেরে গলদা, বাগদা চিংড়িসহ যত প্রকার মাছ ছিল সমস্ত মাছ মরে ভেসে উঠেছে। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা।
তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে আমি লোকজন নিয়ে মৎস্য ঘেরে জাল দিয়ে অল্প কিছু গলদা ও বাগদা চিংড়ি ধরে বেলা ১১টায় স্থানীয় মৎস্য আড়ৎতে মাছগুলো বিক্রি করতে যাই। এই সুযোগে আমার মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। ঘটনার দিন বিকেল বেলায় ঘেরে এসে দেখি রুই, কাতলা, মৃগেল, গলদা, বাগদা চিংড়িসহ ঘেরে থাকা সকল প্রকার মাছ মরে ঘেরের পানিতে ভেসে উঠেছে। এভাবে হঠাৎ মাছ মরার কারণ খুঁজতে গিয়ে ঘেরের পানিতে দেখি নাইট্রো ৫০৫ ইসি ৫০০ মিলিমিটারের ২টি খালি বিষের বোতল পড়ে আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের বিষয় নিয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available